"রাগ, ষড়রিপুর মধ্যে এমন এক রিপু যা খুবই ধ্বংসাত্মক। কিন্তু, তার চেয়েও বড় রিপু হয়ে উঠতে পারত মানসিক বিকৃতি। বিকৃত মানব কখন যে কি দেখে, কি করে, কি বলে, কেউ জানে না যে। তাদেরকে বেঁধে রেখে দিলে সামাজিক চোখরাঙানি, ছেড়ে রাখলে মৃত্যুর হাতছানি। কিভাবে? একটু ভাবুন। ভাবলে দেখবেন যে, বিকৃত মনের মানুষের সঙ্গে আপনি নিজের অজান্তে যা যা দুর্ব্যবহার করেছেন সবই সে ফিরিয়ে দিতে চায়। সেটার জন্য একটা ছুরিই যথেষ্ট। সুতরাং, সময় থাকতে সাবধান হোন।"
প্রতিবেদনটা মন দিয়ে পড়লেও লেখার ভঙ্গিমাটা তার একদমই পছন্দ হয়নি। হতেও পারে ইচ্ছাকৃতভাবে এমন অপমানজনক সুরে প্রতিবেদনটা লেখা! খবরের কাগজটা মুড়ে স্টেশন থেকে নামলেন প্রদ্যুৎ বাবু। শেষের অংশটুকুতে যা বলেছে তা খারাপ লাগলেও, কিছু জিনিস ঠিক। কারণ তার রাতে ঘুম ক'দিন ধরে হচ্ছেই না। মাথা ধরছে, মাথায় ভুলভাল চিন্তা আসছে, দুঃস্বপ্ন দেখছেন, আরো কত কি! কেন হচ্ছে, তা তিনি বুঝতেও পারছেন না। এবং সত্যি বলতে বাকিদের বুঝতে দিচ্ছেন না। আসলে তাঁর জীবনে একটা গোপন দুঃখ আছে, যেটাকে ব্যর্থতা বললেও ভুল হবে না। তাঁর কোন সন্তান নেই। সত্যি বলতে সেটার দায় তাঁরই। কিন্তু ব্যর্থতা সেটা নয়। তাঁর অক্ষমতা লুকিয়ে রেখেছেন সযত্নে। তাই অভিযোগের আঙুল শুক্লার দিকেই। সে জিনিসের প্রতিবাদ না করার ব্যর্থতা একটা ঘটনার পর থেকে তাকে যেন ভিতর থেকে ফালাফালা করে দেয়। সেই চিন্তাগুলোই সম্প্রতি তাঁকে পাগল করে দিচ্ছে। প্রেসে কাজ করছেন বছর দশেক হলো। নিখুঁতভাবে কাজ করা প্রদ্যুৎ বাবুর কাজেও ভুল হচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে।
Write a comment ...